জুলাই গণঅভ্যুত্থান টাইমলাইন

জুলাই মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো সমাবেশ করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এই দিন থেকেই শুরু হয় ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়।

তৃতীয় দিনে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে তাদের দাবি জানায়। রাজপথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেশের মানুষকে জাগ্রত করে।

চতুর্থ দিনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল সরকারের কাছে তাদের দাবি পেশ করে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছায়।

পঞ্চম দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায়। দেশের রাজনৈতিক মহল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়।

ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত আন্দোলন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়।

একাদশ থেকে পঞ্চদশ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানায়। আন্দোলন আরও জোরদার হয়।

ষোড়শ দিনে আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। দেশের মানুষ গভীরভাবে শোকাহত হয়।

সপ্তদশ থেকে বিংশ দিন পর্যন্ত দেশব্যাপী আবু সাঈদের স্মরণে আন্দোলন জোরদার হয়। মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

একবিংশ থেকে পঞ্চবিংশ দিন পর্যন্ত সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

ষড়্বিংশ থেকে ত্রিংশ দিন পর্যন্ত আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার দিকে সরকার এগোয়।

একত্রিংশ দিন থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়।